919 total views, 1 views today
স্বদেশ
শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে ঢুকে জাতীয় সংগীত লিখতে বললেন। সকলে দানা দানা অক্ষরে লিখে ফেললো প্রিয় সংগীত। অঘ্রাণী ইস্কুল ব্যাগ থেকে সাদা পৃষ্ঠা বের করে স্বদেশের মুখ এঁকে নিচ দিয়ে লিখে দিল— আমি তোমায় ভালোবাসি। শ্রেণিশিক্ষক ভেরিগুড কিঙবা টিক চিহ্নের আদলে একটি রেখার উপর আরেকটি রেখা এঁটে দিয়ে অঘ্রাণীর চোখ-মুখের দিকে তাকালো।
ছুটিঘণ্টা বেজে উঠতেই ঢঙ ঢঙ, শিক্ষক ভাবতে লাগলো— আহা! কি সুন্দর স্বদেশের মুখ— রঙ রঙ।
প্রস্থান
এইসব বাকল থেকে উড়ে আসা উস্কানি
খেয়ে গেছে আদর্শ বল্লম
মিইয়ে যাওয়া প্রান্তিক প্রলাপে
বিভ্রম ঝড় জেগেছে তাই—
তবু এখানেই জেগে থাকা, শেষ প্রস্থান
যদিও মুখোশে ভাঙি নিষেককাল
এই সাইকেল জ্বরে জ্বরে
মাটির দেরাজ থেকে
একদিন বেরিয়ে আসবে
প্রিয় কবুতরের—
ফ
সি
ল
হে জারুলপাতা, মেপে দ্যাখো বাকলের অজীর্ণতা। নুয়ে পড়ছো; তোমাদের পিঠের ঈষৎ ম্লান রঙ দিয়ে মেলে ধরো প্রার্থনাপেখম।
জেনে রেখো, নিজস্ব নির্দেশও ফিরে আসে—
আ
ঙু
লে
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
ক করপোরেশন। মানব সম্পদ বিভাগ। শূন্য পদে নিয়োগের নিমিত্তে আমাদের আহবান। এখানে গরমে দেয়া হয় পেরেকবৃষ্টি, শীতে পরিত্রাণ। বোনাস চাও? দেয়া হবে বিবেকের ছোট ছোট বিষাক্ত দানা। শুধু স্বহস্তে লিখে পাঠিয়ে দাও তোমার নিজস্ব ভূগোল।
তোমরা যারা বোকাচোদা বেকার তাদের জন্য আছে বিশেষ সু-ব্যবস্থা। শুধু ঢালতে হবে নোনাদুধ আর প্রমোশন পেতে চোখ দুটো রাখতে হবে তৃণহীন অবনত। যদি পারো, বসের পাছা চেটে চেটে করে ফেলো পাতলা…
ভেবো না, বাচ্চাটা ক্ষুধায় ক্ষুধায় চেঁচিয়ে উঠলেই বিবিকে পাঠিয়ে দাও টাকওয়ালা প্রভুর কাছে। সাবধান! টার্গেট সেল পূরণ হতেই হবে। নইলে খোয়া যাবে এ মাসের সমস্ত আয়োজন!
এসো, তুমি নিয়োগ হও; শুরু হবে আন্তঃদ্বৈরথ, ক্ষরণে ক্ষরণে নিজস্ব মেরুনে রাঙা হয়ে উঠবে, যাবে না করা ক বিষয়ক মন্তব্য। তোমাকে শুয়ারের বাচ্চা বানাতে এ আমাদের কারখানা।
ক্ষুধার্ত ছুরি
যেন ডুবে যাচ্ছো হেলেঞ্চা দলের সাথে
মৃতনদীর দিকে তোমার মেধাবী পৃষ্ঠা
আঙুলের আয়ুতে মাখছো রাত্রিবাতাসের টোপ…
তোমার ঘুম, ঘুমের বাজপাখি, মলাটে বাঁধা মনন
উড়ে উড়ে ফুটছে টেরাকোটা রঙে…
যতসব নিরুত্তাপ খসে পড়া জলের পালক
মেখে নিচ্ছে জলজ্যোৎস্না কাজল।
এই যে উঠোন, উঠোনে জেগে থাকা জ্যামিতিক বন্ধন
কেন তুলে দিচ্ছো মৌসুমী কাকের ঠোটে?
কোথায় রেখেছো আয়নাঘর?
আলোঅন্ধ মিশেল ছায়ায় গিলছো দারুচিনি উৎসব।
এসব দেখি না, দেখতে চাই না। তবু লুপ্ত চেতনার
খসড়া মেলো ধরো ঈগলের ডানায়
নগ্ন রাত্রির দেহ বেয়ে বেয়ে চাঁদ নিভে গেলে
আমার ক্ষুধার্ত ছুরিটা খোঁজে মোমঘর
কেবলই হয়ে ওঠে অশ্বখুর…
কাগজী লেবুর পৃথিবী কেটে তুলে দিতে চায়
রক্তমদের হাড়
যা দেখে তোমার ছায়ারা গুনবে নৈঃশব্দ্যের আধুলি
সমবায় আরশলা
সমবায় আরশলা জিতলে এ দায় কার?
বরঙ বাথটাব থেকে তুলে নাও সাবানের আয়ু
আগুন লাগিয়ে আঙুল টিপে হাঁটো
দেখবে বেরিয়ে আসছে সুচতুর শঙ্খসুর…
জলের গল্প গায়ে মেখে ডাঙায় এসেছি বলে—
ভেবো না ভুলে গেছি মাছের নীল চোখ
জানি, আমার উৎস তিমিদের গ্রাম
সময় শিখিয়েছে—
শেকড়-বাকল ছেড়ে এই নোঙর ফেলার
যদিও এখানে ভন ভন লাটিমজীবন…
আমি সাহস করে বলে রাখলাম—
লাটিম লাটিম ভন ভন খেলে খেলে
বেগুন তলায় যে উৎসব সাজাবে ফ্যান্টাসি ব্যাঙদল
কালের ডানায় তাই তোমাদের সভ্যতা
উৎস চাও? তবে এসো আরশলার গল্প শিখি…